মহামারি কোভিড-১৯ সংকটে পয়লা বৈশাখে জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া এই সংকটকালে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আজ সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষদের অনুরোধ করবো- করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। পয়লা বৈশাখেও সকলে যেন ঘরে ঘরে অবস্থান করেন। আমি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- তারা এই সংকটকালে যেন অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিটি উৎসবের অন্তঃস্থলে থাকে কোমলতা, শ্রদ্ধা, সংকীর্ণহীনতা এবং হীনমন্যতা থেকে মুক্তির মন্ত্র- করোনাভাইরাসের এই আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য খোলা মনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সেটি মোকাবিলা করতে হবে।’
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ ১৪২৭। বাংলা সনের প্রথম দিন। নববর্ষের প্রথম প্রভাতে আমাদের অগণিত সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় জীবনের এক উজ্জ্বল আনন্দময় উৎসব। এই উৎসব সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। পয়লা বৈশাখ থেকেই শুরু হয় নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আকুলতা। নতুন বছর মানেই অতীতের সকল ব্যর্থতা, জ্বরাজীর্ণতা পেছনে ফেলে নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহে সুন্দর সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণে এগিয়ে যাওয়া।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মধ্য দিয়ে আমাদের পালন করতে হচ্ছে পয়লা বৈশাখ। ফেলে আসা বছরের দূর্যোগ, দুর্বিপাক কাটিয়ে আমরা নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার সোনালি সম্ভাবনা দেখতে পাব বলে বিশ্বাস করি। বর্তমান দুঃসময়, মহামারি ও নৈরাজ্যের অভিঘাত সত্ত্বেও আমাদের শান্তি, স্বস্তি, সুস্থতা ও সহাবস্থান ফিরিয়ে আনতে হবে। বিচ্ছেদ ও বিভাজন দুর করে পয়লা বৈশাখ ভরে উঠুক পারস্পরিক শুভেচ্ছায়। তবে এবারের নববর্ষের উৎসবে আমরা বিমর্ষ ও বেদনার্ত। সারা দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবনে যে বিয়োগান্তক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা বর্ণনা করার ভাষা আমার জানা নেই। দেশে দেশে করোনার আক্রমণে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, আক্রান্ত হচ্ছেন অগণিত মানুষ। তাই এবারের বাংলা নববর্ষের উৎসব ঐতিহ্যের ধারা বেয়ে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৪২৭ বাংলা সনের প্রথম দিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট কায়মনোবাক্যে দেশের সকল মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত, শান্তি ও আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করছি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে সকলের ব্যক্তিগত, পারিবারিক তথা জাতীয় সকল পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি। ১৪২৭ বাংলা সনের নতুন প্রভাতের প্রথম আলোতে আমি দেশবাসীকে আবারও জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ নববর্ষ।’