বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি বড়লোকদের জন্য স্পেশাল হাসপাতাল বানানো হচ্ছে। করোনা হলে তাদের সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। কিন্তু গরিব মানুষদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি সরকার।
ভিআইপিদের জন্য করোনা চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল সংবিধান পরিপন্থী কাজ। যাদের টাকা আছে তাদের জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। সেটা পাবে ব্যবসায়ী ব্যাংকের মালিক, গার্মেন্টসের মালিক। তার মানে হচ্ছে, বড়লোকেরা সব পাবেন আর গরিব মানুষ কিছু পাবেন না, তারা মরে যাক, তাদের লাশ রাস্তায় পড়ে থাক- এটাই সরকারের নীতি। এভাবে চলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সিরাজদিখানে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুর উদ্যোগে সেখানে গরিব অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, আমরা বারবার বলেছি বিএনপি আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলে মহামারি বিপদকে মোকাবেলা করি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার শুনছে না। লুটপাট আর চুরির জন্যই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায় না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ত্রাণ জনগণের টাকায় কেনা। সেই ত্রাণ আওয়ামীলীগ নেতাদের ঘরের ভেতর থেকে হাজার হাজার বস্তা চাল বের হচ্ছে। খাটের ভেতর থেকে তেল পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে ত্রাণের চাল-ডাল-তেল পাওয়া যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জে একটি মেয়ে খাবার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সারাদেশে ভয়ঙ্কর ক্ষুধার হাহাকার চলছে।
তিনি বলেন, করোনার মহামারি পরিস্থিতিতেও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কোনো সরকারের ত্রাণ পাইনি। বিএনপির নেতাকর্মীরা পকেটের টাকায় গরিব, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করে চলছে।