বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজকে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। করোনা ভাইরাসের কারণে যেখানে দিনে পনের হাজারের অধিক টেস্টিং হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে তিন হাজার মাত্র। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী টেস্টিং কিট দিয়ে সরকারকে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তাকে সে কাজটি করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকার চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত পিপিই দিতে পারে নাই। আমরা ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে পিপিই দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি।’
সোমবার (২৭ এপ্রিল ) নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রামে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ উদ্বোধনকালে এ তিনি কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য ৮৭ হাজার কোটি টাকার একটা অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়েছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হয়েছে। এই ব্যাংক ঋণ দিয়ে সাধারণ মানুষের কোন উপকার হবে না। যারা সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করছে তারাই এই ব্যাংক ঋণ পাবে। এই সার্বিক ঋণের মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে সরকারের টাকা হচ্ছে জনগণের টাকা। সরকারের কোষাগারে যে টাকা আছে সেটা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। এই টাকা জনগণের দুঃসময়ে ব্যবহার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষের জীবন মরণ সমস্যা। এই কঠিন সময়ে কে কোন দল করে তা দেখে যদি দেশ চালানো হয় এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত গঠনের জন্য বার বার বলে আসছি। কিন্তু সরকার কেন শুনছে না সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে একতাবদ্ধ ভাবে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগে জাতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দিনমজুর, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সর্বস্তরের মানুষগুলো এখন খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের দিন পার করছে। মানুষের এই দুর্যোগ মুহূর্তে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল হিসেবে জনগণের দুঃখের দিনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে। যারা খেতে পারছে না তাদের সহায়তা করতে বিএনপি এগিয়ে এসেছে। বিএনপি জনগণের আস্থা নিয়ে রাজনীতি করে বিধায় তারা মানুষের এই দুর্যোগে ঘরে বসে থাকতে পারে নাই। আমরা আমাদের সাধ্যমত এটা চালিয়ে যাব। ইতোমধ্যে বিএনপির অঙ্গসংগঠন, ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হেল্প লাইন গঠন, পিপিই বিতরণ, ঔষধ, মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে সহায়তা করে যাচ্ছে। তারেক রহমান এই সহায়তা কার্যক্রম সরাসরি তদারক করছেন।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আবু, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান প্রমূখ।