পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে বিআরটিএ’র সাথে আলাপ-আলোচনা মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অনুরোধ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ মে থেকে সরকার গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণপরিবহন পরিচালনায় যাত্রী, পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, এ ছাড় যেন বিষাদে পরিণত না হয়… মালিক, শ্রমিক, যাত্রী সাধারণ সকলের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
আগামীকাল পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে বিআরটিএ’র সাথে মিটিং করে এ সব বিষয়ে চূড়ান্ত করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্য তৈরি, অর্থনৈতিক চাকা সচল এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ও সুরক্ষার স্বার্থে সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনস্বার্থে দেয়া সরকারের এ ছাড় অবাধে অপপ্রয়োগ করলে হীতে বিপরীত হওয়ার আশংকা থাকবে। করোনা আমাদের কারো বন্ধু নয়, কাজেই এ সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার কৌশল হবে আত্মঘাতী।