আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি’র কর্তাব্যক্তিদের গ্রেফতার প্রমাণ করে অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান কঠোর।’
বুধবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে তাঁর নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের, ‘বিভিন্ন খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মুখোশের আড়ালে যতই মুখ লুকিয়ে রাখুক না কেন কোন অপরাধীই অপরাধে করে ছাড় পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘যে যতই ক্ষমতাশালী হোক শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা পড়তেই হবে। অপরাধীর কোন দলীয় পরিচয় নেই। দুর্বৃত্তের কোন দল নেই।’
বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রশাসনকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে কোরবানির ঈদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই পশুরহাট এবং অন্যান্য এলাকায় সমাগম এড়িয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ঝুঁকি কমাতে পারে। তা না হলে ক্ষণিকের অবহেলা কিংবা শৈথিল্য ঈদের সার্বজনীন আনন্দ সার্বজনীন বিষাদে রুপ নিতে পারেন।’
ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সবাই যদি সচেতনতার দূর্গ গড়ে তুলি তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ভয়কে জয় করবো ইনশাআল্লাহ।’
করোনা যুদ্ধে সম্মুখসারির সাহসী যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক সম্মুখসারির যোদ্ধা মানবতার কল্যাণে এবং সেবাকে মহান ব্রত করে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের এ আত্মদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’
এর আগে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও জাইকা প্রধান Hayakawa yuho এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত জাপান সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের প্রকল্পসমূহ বিশেষ করে মেট্রোরেলসহ অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে একটি ক্রি-পাক্ষিক সভার প্রস্তাব করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দেশের উন্নয়নে বিশেষ করে সড়ক,সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা ও অর্থায়নে জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।