সুপরিকল্পিতভাবে ইসি জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা। এদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের ‘বংশবদ ক্রীড়নক’ হিসেবে কাজ করছে।
সদ্যসমাপ্ত ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ উপনির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সিইসি অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেছেন। আমরা নাকি কোনো অভিযোগ দিইনি। ঢাকা থেকেই ১৬২টা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা তা গ্রহণ করেনি। নির্বাচন কমিশন ইভিএম দিয়ে ভুয়া ফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। আমরা নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং সেই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতির মামলায় সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা সাময়িক স্থগিত হলেও ‘তিনি মুক্ত নন’। সাজা স্থগিত হলে তো তার ওপর কোনো বিধি-নিষেধ থাকার কথা নয়। ডিফারেন্সটা হচ্ছে যে, শুধু মাত্র হাসপাতাল থেকে তাকে তার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওখানে তিনি ঘরোয়া পরিবেশের মধ্যে আছেন। যেটাকে সোজা কথা বললে বলা যায়, এটা গৃহে অন্তরীন করা। খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ এবং তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
পুলিশের ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ লোকদেখানো দাবি করে তিনি বলেন, ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে আন্দোলনকারীদের ওপর ফেনীতে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলা প্রমাণ করেছে যে, পুলিশ সারা দেশে যে ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ করেছে, তা শুধু লোক দেখানো। প্রকৃত অর্থে সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও ব্যর্থতায়ই ধর্ষণের মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।