গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র এক কঠিন সময় পার করছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই কঠিন অবস্থা থেকে বের হয়ে আশার জন্য জাতিকে লড়াই সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। ঢাকা ১৮ আসনে ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে। এর পর আর ভোট ডাকাতির কোন সুযোগ দেয়া হবে না।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুায়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামের জন্য মানষিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। জাতির এই কঠিন দু:সময়ে আন্দোলন ও লড়াই ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নাই। এই দু:শাসন থেকে মুক্তি পেতে জাতির প্রত্যাশা পূরনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে দু:শাসন থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে, দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে। দেশবাসীর মুক্তির সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌছেছে। এই অবস্থা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভোট ডাকতদের রুখে দাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যারা দেশের ১৬কোটি মানুষকে বাইরে রেখে জোড় করে ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে তাদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। একটি অনির্বাচিত সরকার বছরের পর বছর জনগনের অধিকার কেড়ে নেবে তা হতে পারে না। আর বসে থাকলে চলবে না, এই সরকারকে আর সময় দেয়া চলবে না। সময় এসে গেছে জননেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এলডিপি সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, মোড়ল আমজাদ হোসেন, চাষী এনামুল হক, নাগরিক মঞ্চের সভাপতি্ ইসমাইল তালুকদার খোকন, যুব নেতা সাইদ আহমেদ মিন্টু, বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের সবকিছু অকেজো হয়ে যাবে যদি আমরা জনগণকে জাগাতে না পারি। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস এই বিষয়টি জনগণের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে হবে তাদের বুঝাতে হবে। তাদের অধিকার আদায়ের জন্যই আমরা মাঠে নেমেছি অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবো।
তিনি বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ ঐক্যবদ্ধ ছাড়া অবৈধ সরকার পতন করা সম্ভব না। তাই এই নির্বাচন এক পক্ষীয় সরকার পতনের উৎসে রুপান্তরিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল করিম আব্বাসী বলেন, সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে মাঠে থাকতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়া যাবে না।