সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়কে বিজয়ী করতে নৌকার মার্কায় ভোট চেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ-১ আসনের কাজীপুরের চালিতা ডাঙা ইউনিয়নের জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু স্থানীয়দের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। এরপর বাহুকায় এক নির্বাচনী জনসভায় তারা নৌকার পক্ষে ভোট চান।
জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী এবং প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শহীদ এম মনসুর আলী এদেশের মানুষের কল্যাণে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। দেশের জন্য তাকে কারাগারে জীবন দিতে হয়েছে। তার ছেলে মোহাম্মদ নাসিমও দেশ ও এই অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। করোনাকালেও মানুষের পাশে ছিলেন। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, উপনির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।
আফজালুর রহমান বাবু বলেন, তানভীর শাকিল জয়ের বাবা মোহাম্মদ নাসিম, দাদা শহীদ এম মনসুর আলী দেশ ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে উন্নয়নের চলমান গতিও সাম্প্রদায়িক চেতনা অক্ষুন্ন রাখেতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর শাকিল জয়ের বিকল্প নেই। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে এই এলাকা উন্নত সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত মেধা শ্রম কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সুনিপন কর্মদক্ষতায় আওয়ামী লীগ আজ মানুসের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী তানভীর শাকিল জয় বিজয়ী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবেন না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, মজিবুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোবাশ্বের চৌধুরী, খাইরুল হাসান জুয়েল, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আশীষ কুমার মজুমদার, আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আরিফুর রহমান টিটু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা মোরশেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর প্রমুখ।