লুটের সরকারকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারা আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই সরকারকে হটাতে হবে-ওয়াদা করি প্রতিদিন। ডেইলি প্রতিশ্রুতি দেই। দলের ভেতরে বিভেদ চলবে না, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু এখান থেকে বাইর হয়ে গিয়ে ৩-৪ লইয়া দোকানে বইসা কারে সাইজ করতে হবে, তা নিয়ে আলাপ করি আমরা। এরকম হলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। ফাস্ট অব অল-স্ট্রাগল ফর ইউনিটি। অর্থাৎ দলের মধ্যে আমাদের শক্তি যতটুকুই আছে ওইটুককে আমরা ঐক্যব করার জন্য সংগ্রাম করি। তারপরেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুভমেন্টটা করব। এটা আমার কথা নয়, মাও সেতুংয়ের কথা।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, দেশ থাকবে, দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র যদি নিশ্চিত করতে পারি শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষই মুক্তি পাবে, দেশেই থাকবে, দেশেই আসবে, স্বাধীনভাবে চলবে, জনগণের পাশে থাকবে। এখন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান করছেন যতটুকু এখন বাকি দায়িত্বটা আমরা অকৃত্রিমভাবে আন্তরিকভাবে সমাধান করি এবং আন্দোলনের মাধমে দেশটাকে মুক্তি করি।’
সভাপতির বক্তব্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন নির্বাচন করে এই সরকার পরিবর্তন করবে। কারণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই তো এই সরকার শেষ করে দিয়েছে। তাই বলব, রাস্তায় নামা ছাড়া সরকার পরিবর্তনে অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদেরকে সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’
কৃষক দলের সদস্য এসকে সাদীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুস রহিম, কৃষক দলের নাসির হায়দারসহ আহ্বায়ক কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া, ফেরদৌস পাটোয়ারি, মাইনুল ইসলাম, কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, শাহজাহান সম্রাট, মেহেদি আহমেদ পলাশ প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।