প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনী এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশের জনগণের কাছে নির্বাচনের চিত্র বর্তমান সরকারের গুন্ডা বাহিনীর তান্ডব ও ডাকাতির নির্বাচন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনী এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। সরকারের ‘হার্ড হিটিং’ ইমেজ বজায় রাখতে ভোটারসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চলছে বেপরোয়াভাবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, কুড়িগ্রামে পৌর নির্বাচন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে প্রশাসনের সহায়তায় দেদারসে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। খুলনার চালনা পৌরসভায় সকাল থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কুরুক্ষেত্র বানিয়ে রেখেছে। সেখানেও বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে তাদের ওপর পৈশাচিক আক্রমণ করা হয়েছে। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। চালনার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র দখল করে নেয়া হয়েছে। চালনা এমএম কলেজ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, পঞ্চগড় পৌরসভার নতুন বস্তি এলাকায় ধানের শীষের মেয়রপ্রার্থীর প্রধান এজেন্ট ইউনুসসহ নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রশাসন সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলো দখল করে নিয়েছে। এখানে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে, শুধু আওয়ামী কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে ইভিএমে নৌকায় ভোট দিতে পারছে। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
‘কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের মাধ্যমে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। ময়মনসিংহ জেলাধীন গফরগাঁও পৌর নির্বাচনে গত দুই রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ গিয়ে হুমকি দিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করে দিয়েছে। সকাল থেকে সব ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সেখানে প্রার্থীর আপন ভাই ও ছেলে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল, তাদেরও কেন্দ্র থেকে মেরে বের করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।’
মানিকগঞ্জে সদর পৌর নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দখলে নিয়ে নৌকায় সিল মারছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এর আগে সেখানে চলে পুলিশি তাণ্ডব। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাকে বিএনপিশূন্য করা হয়েছে। ভোট শুরু হলে বিএনপির এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। যারা ঢুকতে চেষ্টা করেছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।