প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন প্রশাসনিকসহ সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তিকে যত বেশি ব্যবহার করা যাবে, ততবেশি সময়, অর্থ ও দুর্নীতি কমিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা যাবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ আইসিটি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত “সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে আইসিটি প্রশিক্ষণ এবং অবকাঠামো স্থাপন ” শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় স্থাপিত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং (ডি-সেট) সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জনাব পলক বলেন আইসিটি বিভাগ ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’, ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ ও ‘সমৃদ্ধি বাংলাদেশ’ তিনটি বাতিঘর নিয়ে কাজ করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি গ্রামেই শহরের নাগরিক সেবা পৌছানো, তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং তরুণদের জন্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তিনি বলেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে সবমিলিয়ে দেশে প্রায় ৮ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার ও তথ্যপ্রযুক্তিজ্ঞান অর্জনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে এবং সরকারের নিয়োজিত শত-শত কোটি টাকা যেন বিফলে না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও প্রোগ্রামারসহ সরকার ও
দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও জানান ইডিসি প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যেই দেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫ হাজার মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সাড়ে ৩ হাজার ভূমি অফিসসহ প্রায় ৪০ হাজার সরকারি দফতর মিলিয়ে এক লাখ ৯ হাজার সকরারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অধীনে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন তরুণরা যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই প্রযুক্তিশিক্ষা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান ও বিশেষ করে প্রযুক্তি সক্ষম জাতি গড়ে তুলতে সারা দেশে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় চর-বিল-হাওয়রাঞ্চলেও ডি-সেট স্থাপন করা হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম, প্রকল্প পরিচালক ফিরোজ সরকার।

পরে, প্রতিমন্ত্রী পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের ছিটমহলে স্থাপিত থেকে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে ডি-সেট সেন্টারের উদ্বোধন করেন।