বসুরহাট পৌরসভার মেয়র, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় তিনি এ ঘোষণা দেন। কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি সব অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো।
বিদায়বেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি একসাথে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন।
কাদের মির্জা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলবো আপনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, কিন্তু আপনার প্রশাসন মাদককে সহযোগিতা করছে। আর এখনি ঘোষণা দিন যে, সংসদ সদস্যসহ যেকোনো প্রতিনিধি বা পদে আসতে মাদক ও নারীর সাথে থাকতে পারবে না। ডোব টেস্ট করে চাকরিতে যোগদান করান।
ঢাকাতে সব দল একদল হয়ে গেছে দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে একসাথে হয়ে যায়। এরা ‘জাতীয় অপকর্ম পার্টি’ গঠন করেছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের মির্জা।
বড়ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন। যেদিন আমার ছোটভাই (দেলোয়ার) ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে সে দিনই তার সাথে (ওবায়দুল কাদের) সম্পর্ক মানসিকভাবে দুরে সরে গেছে।
এসময় তিনি আরও বলেন কাদের মির্জা ওবায়দুল কাদেরের সাবেক এপিএস বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিকের সমালোচনা করে বলেছেন, সে চাকরিপ্রার্থী অনেক নারীর সাথে অনিয়ম করেছে, অবশেষে বিয়েও করেছেন অনিয়ম করে।