দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে আইসিইউর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা রগীদের জন্য জন প্রতি সরকারের ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা চিকিৎসার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় করোনা রোগীদের জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড করা হয়েছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে।
সারা বিশ্বেই টিকার সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের ১০টি ধনী রাষ্ট্র ৭০ ভাগ ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০-৬০টি দেশ ভ্যাকসিনই পায়নি।
চলমান লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লকডাউনই একমাত্র উপায় নয়। লকডাউন দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রান্সমিশন (সংক্রমণ) কমিয়েছে। তবে লকডাউনের নেতিবাচক দিকও আছে। এতে দারিদ্র্য ও সামাজিক অস্থিরতা বেড়ে যায়।
লকডাউনের উপকার পাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ ২৪ থেকে ১৩-তে নেমে এসেছে। লকডাউনের বড় ফল পেয়েছি। কিন্তু লকডাউন তো সব সময় হতে পারে না। মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অনুষ্ঠানে না যাওয়ার মতো দীর্ঘমেয়াদি উপায় মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ (দ্বিতীয় ঢেউ)’ কীভাবে আসলো সেটা জানা উচিত। না হলে আমরা ‘থার্ড ওয়েভের’ দিকে যাবো।