করোনা মহামারির এ সময়ে সংক্রমণরোধে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে আজো পারাপারের জন্য ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর থেকে নদী পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী।
রোববার (০৯ মে) সকালে ৩ নম্বর শিমুলিয়া ফেরিঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ভোর থেকে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি।
এদিকে, লকডাউনের মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণে ফেরিঘাট এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি’র) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল।
মো. ফয়সাল জানান, গত দুই দিন ধরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে হাজার-হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। এদের অনেকে ঈদ উদযাপনের জন্য গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল সামলাতে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে শনিবার রাতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আজ সকালে বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকে ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। যাত্রীদের ঘাট অভিমুখে যেতে বাধা দিচ্ছেন তারা। তবে সেহরির পর পর বেশ কিছু যাত্রী ঘাট এলাকায় ডুকে যায়। তারা সকাল থকে ফেরির ছাড়ার অপেক্ষায় থাকলেও সকালে কোনো ফেরি ছেড়ে যায়নি। বিজিবির টহলের মধ্যেই যাত্রীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাটে জড়ো হচ্ছেন। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ যানবাহন।
মো. ফয়সাল আরও জানান, ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী সাড়ে ৩ শতাধিক গাড়ি রয়েছে যা আজ রাতে পারাপার করা হবে। ঘাটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় ফেরিগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে।