বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খাদেলা জিয়া ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন করে এক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনা টেস্টের জন্য দেওয়া তথ্যে খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্ট নয়। অতএব করোনার তথ্যের মাধ্যমে থলের বিড়াল মেও করে বেরিয়ে এলো।
‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার ‘ভূয়া জন্মদিন’ পালন করা জাতির পিতার হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করারই শামিল বলে জনগণ মনে করেন।’
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ আগস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?
বিভিন্ন সময়ে জন্মদিন পালনকারী বেগম জিয়ার জন্মদিন বিষয়ক আসল সত্য তিনি নিজেই উন্মোচন করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম জিয়া কেক কেটে উৎসবের সঙ্গে ভুয়া জন্মদিন পালন করতেও দেখেছে জাতি।
বেগম জিয়ার মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫,বিবাহ সনদ ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৪৫,পাসপোর্ট সনদ ১৯ আগস্ট ১৯৪৫, আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন।
তিনি বলেন, অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেল খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।
স্বপরিবারে জাতির পিতার হত্যা দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করা কতটা নিষ্ঠুর ও বিদ্বেষপ্রসূত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ও করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। নিজ বাস ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সঙ্গে চলতে পারে না,পারে না সত্যকে লুকিয়ে রাখতে,হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না,তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না।