ডিবি পরিচয়ে বিদ্যুত স্টেশনে ডাকাতি

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধামরাইয়ের বালিয়া-মাদারপুরে বিদ্যুতের সাব-স্টেশনে সংগবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাতে ডাকাতরা ওই সাব-স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারদের পিটিয়ে এবং হাত-পা ও মুখ বেঁধে টাকাসহ আট লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে।

অফিস কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ওই বিদ্যুৎ অফিসের অন্য কর্মকর্তারা যথারীতি অফিস টাইম শেষে নিজ নিজ বাসভবনে চলে যান। রাতে অফিসের ভেতরে অবস্থান করছিলেন থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুল ইসলামসহ তিনজন লাইনম্যান।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত ট্রাকযোগে এসে প্রথমে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে খুনের মামলার আসামি বালিয়া-মাদারপুর নতুন বিদ্যুতের সাব-স্টেশনে প্রবেশ করে।

এর পর ডাকাতরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, তিন লাইনম্যান আবুল কাসেম, জসিম উদ্দিন ও মাসুদ রানাকে পিটিয়ে, হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক লাখ টাকা, দুটি ল্যাপটপ, আটটি মোবাইল ফোন ও ছয়টি ট্রান্সফরমার লুট করে। যার মূল্য প্রায় আট লক্ষাধিক টাকা।

লাইনম্যান মো. আবুল কাশেম বলেন, ডাকাতরা ডিবির ইউনিফরম পরিহিত ছিল। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জানায়, ভেতরে হত্যার আসামি আত্মগোপনে করে রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য এসেছি। আমরা গেট না খুলায় তারা গেট টপকে ভেতরে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে অফিসের সব কিছু ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

সাভার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জি. মো. হারুণ অর রশীদ জানান, আমরা মানুষের সেবা দিতে এসেছি। সেবাদানে যারা বাঁধা দিচ্ছে তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। ওরা কারও ভালো চায় না। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি এটি দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বালিয়া বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি অফিসে ছিলাম না। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রাসেল মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।