
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকায় দেশে তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে সরকারের ঘোষিত চলমান লকাডাউন আজ সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হচ্ছে। এতে অফসগামীরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়অ আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
মাঠপর্যায়ে গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় তিন গুনের বেশি রিক্সা ভাড়া থাকায় পেশাজীবীদের অনেকের পক্ষে তা বহন করার সামর্থ না থাকায় পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে ছুটেছেন। অপরদিকে যাদের সামর্থ আছে তারা অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও যান না পেয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন।
তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করে রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হবে কঠোর লকডাউন।
করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে তিন দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা শুরু হবে।
তিন দিনের বিধিনিষেধে যে পাঁচ শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে—
(১) সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতীত সব গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
(২) সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
(৩) খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধু Online/Take way) করতে পারবে।
(৪) সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানসমূহে শুধু প্রয়োজনীয়সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।
(৫) জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সম্প্রতি দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সারা দেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সুপারিশের আলোকে সারা দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।