দীর্ঘ ১৬ মাস পরে টেস্ট স্কয়াডে যায়গা পেয়ে নিজের পঞ্চাশতম টেস্টকে সেঞ্চুরি দিয়ে রাঙ্গালেন অভিঙ্গ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারেক যোগ্য সঙ্গি হিসেবে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলে ফাস্ট বোলার স্পিট স্টার তাসকিন আহমেদ। নির্বাচকদের আবারও ভুল প্রমাণ করলেন টাইগারদের টি ২০ কাপ্তান।
হারারের বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট ইতিহাসের নিজের ব্যাক্তিগত আন্তর্জাতিক প্রথম অর্দ শত পূরণ করলেন মাহমুদ উল্লাহকে সঙ্গ দেওয়া তাসকিন আহমেদ। তবে টাইগারদের নতুন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স মনে করেন এই উইকেটে রান সংখ্যা যত বড় করা যায় তাও কম হয়ে যাবে। অন্তত ৫০০ প্লাস রান করতে হবে।
বুধবার ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে প্রিন্স বলেছিলেন, ‘১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে যতটা সঙ্গ দেবে বাংলাদেশের জন্য ততটাই ভালো হবে। দুই দল ব্যাটিং করার আগে কোনো পিচে কত রান ভালো, সেটা কেউ জানে না। তাই ২৯০ থেকে ৩২০ রানকে আমরা ভালো সংগ্রহ হিসেবে ধরে নিতে পারি না। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, যত বেশি সম্ভব রান করা।’
আর প্রিন্সের সেই কথা যেন হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ।
৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রানে প্রথম দিন শেষ করেছিল টাইগাররা। মাহমুদউল্লাহ ৫৩ ও তাসকিন ১১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেন।
সেখান থেকে ১০৭ ওভার শেষে এ জুটির সংগ্রহে স্কোরবোর্ডে এখন রান ৪০৪! অর্থাৎ মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন জুটি এ পর্যন্ত সংগ্রহ করেছে ১১০ রান। গতকালের ২৪ রানসহ এ জুটির সংগ্রহ ১৩৪ রান। যা নবম উইকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
অবশ্য আগের সেরাকে মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন পেরিয়ে গেছে দিনের শুরুতেই। ২০০৫ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তাপস বৈশ্যের জুটি করেছিল ৩৫ রান। এর পর গত ১৬ বছরেও ৩৫ রানও যোগ করতে পারেনি নবম উইকেটের জুটি।
আর মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন জুটি ছাড়িয়ে গেছে ১০০ রানের পার্টনারশিপকে। জিম্বাবুয়েকে হতাশ করে ইতিহাস গড়া জুটির রেকর্ড ফের কবে ভাঙা যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা অন্যায্য কিছু নয়।
হয়তো লেগে যেতে পারে বছরের পর বছর। কিংবা হয়ত এ জুটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
একটা সময় ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে তুলে নিয়ে আসেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লিটন। নার্ভাস নাইনটির বলি হন তিনি। লিটন ফেরার পর দ্রুত ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৭০ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
এরপর ফের বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে ২২ গজে আসেন তাসকিন আহমেদ। দলের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে মাঠে নামেন। লিটন নার্ভাস নাইনটির বলি হলেও ঠিকই ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।
ওদিকে মাহমুদউল্লাহেক যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ক্যারিয়োরের প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তাসকিন।
এ জুটির ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় তৈরি করছে বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৪০৪ রান। ২১৫ বল খেলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ১১২ রানে। অপরপ্রান্তে ৮৯ বলে ৮ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫২ রানে অপরাজিত তাসকিন।