প্রশাসন নামক যন্ত্রকে অপব্যবহারের হাতিয়ার করে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন হস্তক্ষেপে গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা সব ধরণের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এসব অপকর্মের মাধ্যমে জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনগণ এখন সরকারের সব কুকর্ম ও নিষ্ঠুর শাসন অবসানে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মঙ্গলবার ছাত্রদল-ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব পারভেজ হোসেন পাভেল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। কিশোরগঞ্জের জেলার বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভায় পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের গ্রেফতার এবং থানা বিএনপিসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা করা হয়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভায় পুলিশ হামলা চালিয়ে সভা বানচাল করে দিয়েছে। নেতাদের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে গ্রেফতারদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার অন্ধকার গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। সমগ্র দেশটাই এখন বন্দিশালায় পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারির সময়েও বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা ও কারান্তরীণের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রেফতার ও হামলা বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকারের ধারাবাহিক অপকর্ম থেকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে রয়েছে বলেই বিরোধী দলের যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালে সরকার এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।