
মহামারী, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধানই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাই বাংলাদেশ জলবায়ু, প্রকৃতি এবং উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর ) দক্ষিণ কোরিয়ার সুওন শহরে হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত “ফোর্থ ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম সেশন্স অভ দ্যা ফোরাম অভ মিনিস্টার্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট অথোরিটিজ অভ এশিয়া প্যাসিফিক” এ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদী পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত এবং কার্যকরভাবে জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাস এর মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ বদ্বীপ অর্জনের জন্য সরকার “বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০” গ্রহণ করেছে। গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে, বাংলাদেশ এ বছরের ২৬ শে আগস্ট ইউএনএফসিসিতে সংশোধিত এবং উন্নত “ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স” জমা দিয়েছে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব প্রদান এবং স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ “মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ২০৩০” চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত এসকল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রী আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন।









