ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজ হয়ত বঙ্গবন্ধুর মতই বাঙালী জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতেন, নেতৃত্ব দিতেন বাবার উত্তরসূরী হিসেবে। অথবা বাবার দেয়া নামের সাক্ষর রাখতেন নিজ জ্ঞানে আর বিদ্যায়।
প্রতিমন্ত্রী আজ ১৮ অক্টোবর, ২০২১ (রবিবার) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় “শেখ রাসেল দিবস” উদযাপন উপলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতে রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। নিষ্পাপ শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে মানুষরূপী দানবেরা সারা পৃথিবীর সকল শিশুকে হত্যা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুনিরা জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরিরা একদিন লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।যার জ্বলন্ত উদাহরণ বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি তার সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা কি করে পারল শেখ রাসেল কে হত্যা করতে? খুনিরা কিভাবে গুলি করেছিল শেখ রাসেল কে? ছোট্ট রাসেলের কান্নায় একবার মায়া হয়নি তাদের? খুনিরা তো এই সমাজেরই লোক ছিল। তাদেরও তো পরিবার ছিল, সন্তান ছিল। রাসেলের মত সন্তান তাদের ঘরেও ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের জন্মদিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রত্যাশা পবিত্র সংসদে যারা ‘ইনডেমনিটি’ আইন পাশ করেছিল, যারা এই আইনকে সমর্থন করেছিল এবং যারা ইতিহাস বিকৃত করেছিল তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গনতন্ত্র ও উন্নয়নের চিহ্নিত শত্রু। তাদের বিচারের ব্যবস্থা করে আইনের শাসন ও ন্যায্য বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।