স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শর্ট টার্ম অথবা লং টার্ম যে প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন সেগুলো অবশ্যই টেকসই ও প্রোডাক্টিভ হতে হবে এবং টাইমলাইন অনুযায়ী শেষ করতে হবে। আমরা অনেক প্রকল্প গ্রহণ করি কিন্তু বারবার প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয় ‑ যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘ডেল্টা প্লান-২০২১ বাস্তবায়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হচ্ছে ডেল্টা প্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’।
নেদারল্যান্ডসের আদলে গ্রহণ করা শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যানকে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, এই প্ল্যান বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার।
টেকসই উন্নয়নের কোনও বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নগর এবং গ্রাম দুটোকেই সমান বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হচ্ছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার পর এসডিজি-২০৩০ এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা-২০৪১ এর রোড ম্যাপ অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ শহরমুখী হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয় তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নাগরিকের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত না করা। এটি করা না গেলে শহরমুখী মানুষ ঠেকানো সম্ভব হবে না। আবার মানুষকে শহরে না আসার জন্য বাধাও দেওয়া সম্ভব না। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।