চুরি হওয়া ফাইলে তেমন গোপনীয় কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো.আলী নূর।
তিনি বলেন, ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। আমরা তো সত্যিকারভাবেই আসলে জানি না, কে এই কাজটি করেছেন। এখন আমরা সন্দেহের মধ্যে আছি। আমিতো মনে করি যে, আমরা সবাই সন্দেহের মধ্যেই আছি।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার এ জিডি করেন। এরপর নথি গায়েব বা খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে যায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। সেখানে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি কর্মকর্তারা। এরপর ওই বিভাগের ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়।
খোয়া যাওয়া ফাইলগুলো কী সংক্রান্ত ছিল- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলো তেমন গোপনীয় কিছু নেই। প্রত্যেকটা ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে। এ তথ্য আমাদের কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। তবে মূল বিষয়টা হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া! এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কাউকে সন্দেহ করেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্দেহের বিষয়টাতো এখন বলাটা কঠিন। কারণ আমরা তো সত্যিকারভাবেই আসলে জানি না, কে এই কাজটি করেছেন। এখন আমরা সন্দেহের মধ্যে আছি। আমিতো মনে করি যে, আমরা সবাই সন্দেহের মধ্যেই আছি।