রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ে সমগ্র নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার ( ১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) একাংশের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে ‘দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কালকে (বৃহস্পতিবার) একটা মামলার রায় হয়েছে। রেইনট্রি হোটেল, যেখানে দুজন শিক্ষার্থী রেইপড হয়েছিল। মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকাতে… ঘটনা ঘটেছে, স্বীকার করা হচ্ছে। আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস!
তিনি বলেন, কেনো? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা গ্রেফতার হয়েছে, যাদের একিউজড করা হয়েছে, দে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এতো টাকা! জুলেলারি, এমপি… এই সমস্ত। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সমস্ত নারী জাতিকে অপমান করে এদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এ ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।
বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের শিকার মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালও বলেছিলাম, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। এসকে সিনহাকে (সাবেক প্রধান বিচারপতি) বন্দুক দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে দিলেন। কী কারণে? উনি একটা রায় দিয়েছিলেন। বিচারক নিয়োগ করার যে ব্যবস্থা ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, বিচারকদের অভিসংশনের ব্যাপারে।
তিনি বলেন, সেটা সরকার মেনে নিতে পারেনি। তারপর কী হলো? তাকে একেবারে বন্দুক ঠেকিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলো। আমরা তো দেখেছি এগুলো, নামও জানি আমরা। তার মধ্যে একজন চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। ল’ সেক্রেটারিও ছিলেন সেটার মধ্যে।
জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুতফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, জাগপার আওলাদ হোসেন শিল্পী প্রমুখ।