সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাইফ হত্যার দায়ে ৮ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হাকীমুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, মতিয়ার রহমান ওরফে ফইনে, কাশেম, আব্বাস, ডালিম ও মোক্তার এদের মধ্যে মতিয়ার রহমান ওরফে ফইনে, ডালিম ও মোক্তার পলাতক রয়েছেন।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতের হাজত খানায় নেওয়া হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ১৮ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহের বংকিরা পশ্চিমপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দীনের দুছেলে সাইফুল ইসলাম সাইফ (সেনা সদস্য) ও মনিরুল ইসলাম ( নৌ সদস্য) বড় ভাইয়ের শ্বশুর সামসুল মোল্লাকে আনতে বদরগঞ্জ বাজারে যান। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় বেলতলারদাড়ি নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার ওপর গাছ ফেলানো দেখে তারা বুঝতে পারেন সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডাকাতি করার জন্য রাস্তার মাঝে গাছ ফেলে রেখেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা সাইফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। পরে সাইফের ছোট ভাই মনির বংকিরা বাজার সংলগ্ন পুলিশ ও স্থানীয় জনতার সহায়তায় বড় ভাইকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরেরদিন নিহতের পিতা অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে নেমে পুলিশ আটজনের সম্পৃক্ততার বিষয় জানতে পারে। যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ আকিমুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করলে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট আহাদুজ্জামান।