কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান বিরোধের জেরে সিদ্দিকুর রহমান (৫০) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডীপুর পুঠিমারী বিলের চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান ওই এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে। তিনি চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গোলোযোগ সৃষ্টি হয়। তারপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চন্ডীপুর হান্নান মোড়ে জাসদ নেতা নজরুল ইসলাম, লুৎফর রহমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল এর সমর্থক ওয়াসিম ও কুব্বাতের।
শুক্রবার সকালে পুটিমারির বিলের চরে ঘাস কাটতে যান বাদশা নামে এনামুলের এক সমর্থক। এসময় তার তার ওপরে হামলা চালায় জাসদ নেতা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে রনি, মোনা মালিথা, ওহাব মালিথা, শান্ত মালিথাসহ বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে এনামুল মেম্বারের লোকজন ছুটে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান এনামুল মেম্বারের ভাই সিদ্দিকুর রহমান।
নিহতের ভাই এনামুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাসদ নেতা নজরুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এর জেরে তারা পরিকল্পিতভাবেই আমার ভাই ও লোকজনদের ওপরে হামলা করে। সবার সামনের নজরুলের ছেলে রনি গুলি করে।
চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন জানান, ওই এলাকায় মণল এবং মালিথা দুই গ্রুপের বংশীয় দ্বন্দ্ব প্রায় ৬০ বছরের। মাঝে মাঝেই এদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে।
ভেড়ামারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, সকালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন মারা যান। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।