বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু হলেও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এদিন সকাল ৮টার আগেই সচিবালয়ে আসেন তিনি।
অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এসেছে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেবা দেওয়ায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। আমি খবর নিয়েছি, সব কর্মকর্তা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। যে সমস্ত সেবা দেওয়া প্রয়োজন তা এই নতুন সময়সূচিতেই দেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষিক্ষেত্রের চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব দরকার। আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে। সারা পৃথিবীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য খাদ্যদ্রব্যের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানির ওপরও মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে এখন থেকে যদি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে অন্য যে দেশগুলো যে সমস্যায় পড়ছে সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, অপচয় কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। অপচয় করলে চাপ পড়বে। জাতীয় অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। আমরা অপচয় বন্ধ কররতে পারলে ভালো। নতুন সমময়সূচি কতেদিন অবব্যাহত থাকবে সেটি নিয়ে টাইমফ্রেম ঠিক হয়নি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যতেগুলো সুযোগ নেওয়া যায় সবগুলোই নেওয়া উচিত। ইউরোপসহ অন্যান্য অনেক দেশে ৬টার মধ্যে শপিংমল বন্ধ হয়ে যায়। এশিয়াতেও কোনো কোনো জায়গায় ৬টা বা ৮টায় বন্ধ করে।
বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও আমার মনে হয় সরকারি অফিস যদি আগে বন্ধ হয়, ব্যাংক আগে বন্ধ হয়, স্বাভাবিকভাবে তারাও কর্মঘণ্টা কমাতে পারে। এটা নিয়ে পরে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদি বেশি বেশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারি, তাহলে উৎপাদনে খরচ কম পড়বে।