বরিশালে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক আলোচনা সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)রাতে বরিশাল নগরের সদররোডস্থ কীর্তনখোলা মিলনায়তনে দুই গ্রুপের মধ্যে বাকবিতাণ্ডা, হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির ব্যানরে সাংগঠনিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সভায় প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সভায় যোগ দেন।
এরইমধ্যে সভামঞ্চের পেছনে থাকা ব্যানারের ছবি নিয়ে মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও জেলা জাতীয় পর্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতাণ্ডা শুরু হয়।
পরে যদিও পার্টির কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ সিনিয়র নেতারা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ সময়ে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জেলা ও মহানগরের দুটি পক্ষই এখানে শক্তিশালী এবং জাতীয়পার্টির, অন্য কেউ না। প্রফেসর মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও একেএম মর্তুজা আবেদীন দুজনই এখানের নেতা। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পরীক্ষিত নেতা তারা। এ দলের জন্য প্রফেসর মহসিন উল ইসলাম হাবুল সারাজীবন সংগ্রাম করে এসেছেন, আবার কাউন্সিলর একেএম মর্তুজা আবেদীনও একজন পরীক্ষিত মানুষ, জনগণের মানুষ। তবে মনে রাখতে হবে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা দলকে শক্তিশালী করে না।
তিনি বলেন,আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ভাই এবং মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু তারা বরিশালে আসবেন। এখানে আমরা একটি বড় কাউন্সিল করবো। হাজার হাজার নেতাকর্মী আসবে এখানে, সারাদেশ থেকে নেতারা আসবে। মানুষ দেখবে বরিশারে জাতীয় পার্টি অনেক শক্তিশালী।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম মর্তুজা আবেদীন জানান, মহানগর জাতীয় পার্টির অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন তাপসের ৭ থেকে ৮ জন সমর্থক এসে সভায় হট্টগোল করে। পরে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক আলোচনা সভার ব্যানারে কেন তাদের ছবি থাকবে? আমি জানি না। কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সব দেখেছেন।
অপরদিকে অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল সাংবাদিকদের জানান, ব্যানারে নিস্ক্রিয় নেতা-কর্মীদের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করে নেতা কর্মীরা।
যদিও সভায় উপস্থিত থাকা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল ৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্না বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সবাইকে মিলিয়ে দিয়েছেন। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।