বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে মূল্য বারবার বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না। সরকার দুর্নীতিবাজদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিকভাবে ফের বৃদ্ধি করেছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবি জানান।
তারা বলেন, আইএমএফ ও দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে।
নেতারা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। নিয়োগ, ক্রয়, উৎপাদন, সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে।
তারা বলেন, বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয়সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বেই আজ জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ‘আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার’ ব্যবস্থা।
নেতারা আরও বলেন, দুর্নীতি ও ভুল নীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎ খাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন পড়বে না।
অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বিআরসি বিদ্যুতের অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ, বিতরণ, ব্যয় কমানোতে কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। এরা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণশুনানির নাটক করে।
তারা বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিলে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু মুষ্টিমেয় বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে উৎপাদন না করেও বসিয়ে বসিয়ে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে টাকা দিচ্ছে।
এ মুনাফা-লুটপাটের অর্থ জোগান দিতেই বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের এ ধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আইনের আশ্রয়ও যাতে নেওয়া না যায় সেজন্য দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে।