বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, প্রত্যেক পিতামাতা তার সন্তানকে সাধ্যমত ভাল খাওয়াতে পছন্দ করেন, তেমনি অধিকাংশ সন্তান তার পিতামাতাকে খাওয়াতে পছন্দ করেন। বঙ্গবন্ধুর এতিম কন্যা বিশ্বসেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর পিতামাতাকে রান্না করে এক লোকমা ভাত খাওয়ানোর সুযোগ নেই। নরপিশাচ ঘাতকেরা সেই সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন। এজন্যই জনতার নেত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের প্রতি গ্রামে বসবাস করা মুরব্বী নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, নিরন্ন নাগরিক রাষ্ট্রের অর্থে পেট ভরে ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আলহামদুলিল্লাহ উচ্চারণ করলে কবরে শুয়ে জাতির পিতার পবিত্র আত্মা শান্তি লাভ করেন। জাতির পিতা বাংলার প্রত্যেক মানুষের পেট ভরে ভাত খাওয়া এবং প্রত্যেকের মুখে সুখের হাসির জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতির পিতার আত্মার শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী মুরব্বী গরীবের মুখে খাবার তুলে দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদ মাঠে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জগৎসেরা উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন বিশারদ শেখ হাসিনা স্বল্প সম্পদ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একই সঙ্গে অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে রেকর্ড সৃষ্টি করে মানবতার অপরিসীম সেবা করে চলেছেন। যূগপৎভাবে উন্নয়ন ও মানবকল্যাণের ইতিহাস পৃথিবীতে কম। তিনি তাঁর বিজ্ঞতা দিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আজ প্রধানমন্ত্রীর পদে জননেত্রী শেখ হাসিনা অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ বিকমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোঃ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখে,ন কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নাহার লাইলী, মোঃ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, ফরিদা খানম সাকী এমপি, শিহাব উদ্দিন শাহীন, মেয়র সহীদুল্লাহ খান সোহেল প্রমুখ।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে মরহুম আব্দুল মালেক উকিলের পুত্র বাহার উদ্দিন খেলন সভাপতি এবং বিদায়ী সভাপতি মোঃ হানিফ চৌধুরী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।