স্থলভাগে সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের দৃষ্টিও এখন সমুদ্র অঞ্চলের দিকে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোস্টগার্ড বাহিনী অধিকতর সক্ষমতা অর্জন করবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোস্টগার্ডের প্যারেড পরিদর্শন এবং সদস্যদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব এবং সমুদ্র সম্পদের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি অনুধাবন করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফায় তখনকার পাকিস্তান নৌবাহিনীর সদর দপ্তর পূর্ব পাকিস্তানে স্থানান্তর করাসহ একটি সুসংগঠিত নৌবহরের দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র এবং সমুদ্রসম্পদের ওপর দেশের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে ‘The Territorial Waters and Maritime Zone Act’ প্রণয়ন করেন। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এ ধরনের আইন পাশ হয়। ৭৫-পরবর্তী সরকারগুলো দীর্ঘ ২১ বছরে সমুদ্র অঞ্চলে দেশের সার্বভৌমত্বের কথা ভাবেনি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে আমরা সারা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের কোস্টগার্ড অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। উপকূলীয় এলাকার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকায় সার্বভৌমত্ব এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কোস্টগার্ড অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য আমি প্রথমেই কোস্ট গার্ড- এর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।