রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজ পড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব সৈয়দ এমদাদ উদ্দিন।
এসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ অন্যান্যরাও জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহকর্মীদের পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজার আগে জাফরুল্লাহর ছেলে বারীষ চৌধুরী বলেন, আমার বাবা সবসময় দেশের কথা ভেবেছেন।
দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। আমি আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জানাজা শেষে জাফরুল্লাহর মরদেহ ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল ৪টার দিকে সেখানে আরেকটি জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৭ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য একে আজাদ চৌধুরী। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাবির উপাচার্য আখতারুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূইয়া।
দীর্ঘদিন যাবত কিডনিজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।