তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গতকালকে জামায়াতের সমাবেশ থেকে যেভাবে আস্ফালন করা হয়েছে, এগুলো আসলে জামায়াতের বক্তব্য নয়, বিএনপির বক্তব্য। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলেছে। অর্থাৎ ২০১৪ সালে যেভাবে নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে শত-শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেটারই ইঙ্গিত তারা গতকাল দিয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রধান শরিক হচ্ছে জামায়াত। বিএনপি-জামায়াতকে দিয়ে একথাগুলো বলিয়েছে।
রোববার (১১ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না। তাদের সুযোগ দিলে যে তারা কী করতে পারে, সেটি গতকাল তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়েছে। এটি পরিষ্কার করারও প্রয়োজন ছিল।
জামায়াতকে এ সময় মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হলো কেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত যেহেতু এখনও নিষিদ্ধ হয়নি, তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সমাবেশের জন্য আবেদন করেছিল, সেজন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গতকালকে জামায়াতের যে বক্তব্য এটি আসলে বিএনপিরও বক্তব্য।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতে পারে। কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলে তাদের সভা-সমাবেশ করার অধিকার থাকে না। যেকোনো রাজনৈতিক দল যতক্ষণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ না হয়, তারা সভা-সমাবেশ করার অধিকার রাখে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচন মানে নির্বাচনের দিন নির্বাচন নয়। নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয় অনেক আগে থেকে। নির্বাচনের বাকি মাত্র ৬ মাস। এসময় সব রাজনৈতিক দল সভা- সমাবেশ-মিটিং করবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে, এটিই স্বাভাবিক। সে কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য কিন্তু তা নয়। আমরা অতীত যদি পর্যালোচনা করি, তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য যদি ব্যাখ্যা করি, তাহলে দেখতে পাই তারা অতীতের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এদেশের মানুষ এটা হতে দেবে না, বলেন তথ্যমন্ত্রী।