৭ দফা দাবি নিয়ে ফের নীলক্ষেত মোড় অবরোধে নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আলোচনায় ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছে তারা।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২ টায় নিউমার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা গিয়ে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে যান। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যে সব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে, সর্বোচ্চ তিন মাস ( ৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সব বিষয়ে পাশ করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ শর্তের জন্য নন প্রমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে সাত কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকে সন্তোষজনক ফল না আসায় আবারও আন্দোলনে নেমেছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম বলেন, আমরা সাত কলেজের শিক্ষকরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে নীলক্ষেত এলাকা থেকে নিয়ে এসেছি। এখন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করবে। আমরা সাত কলেজের শিক্ষকরাও সেখানে থাকবো। আশা করছি একটি সুষ্ঠু সমাধান আসবে।