পদ্মা সেতুতে চলাচলের জন্য রাষ্ট্রপতি ছাড়া সব নাগরিককে টোল দিতে হবে। উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী নিজেও ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা টোল দিয়ে সেতু পার হয়েছেন।
রোববার (২৫ জুন) সেতু ভবনে পদ্মা সেতুর একবছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থা এখন পর্যন্ত ৯১ লাখ ৭০ টাকা টোল দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সংশোধিত ব্যয় ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। আর গতকাল রাত পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৭০০ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। যা আজ বিকেলে ৮০০ কোটিতে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতুতে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা টোল আদায় হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৫ জুন ২০২২ থেকে গতকাল অর্থাৎ ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে সর্বমোট ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার যানবাহন। দৈনিক গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন পারাপার হচ্ছে এ সেতু দিয়ে। যা পূর্বানুমানের চেয়েও বেশি।
পদ্মা সেতু জনগণের সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো সরকার চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু সেতু থাকবে। সেতু কোনো সরকারের সম্পদ নয়। এটি জনগণের সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বা বিবিএ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সরকারের কাছ থেকে সেতু নির্মাণ ব্যয়ের অর্থ বিবিএ ঋণ হিসেবে নিয়েছে। এ ঋণের টাকা ধাপে ধাপে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেবে বিবিএ। এরই মধ্যে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে চারটি কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে।
প্রথম দুটি কিস্তি বাবদ প্রায় ৩১৬ কোটি ৯১ লাখ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি বাবদ প্রায় ৩১৬ কোটি ৩ লাখ টাকাসহ সর্বমোট প্রায় ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ বছরের মধ্যেই বিবিএ সম্পূর্ণ অর্থ সরকারকে ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।