ঈদে মানুষ ঘরমুখো হলেও নিজ জেলা-গ্রামে তারা নিরাপদ ছিল না বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এদের নানা সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে জনপদের পর জনপদে গঠিত রক্তাক্ত সন্ত্রাসের পরিকাঠামোর কারণে এক আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছিল। মানুষ বাড়িতে ফিরেও স্বস্তিতে ছিল না।
রোববার (২ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, এমন এক দুঃসময় চলছে যখন বোনকে উত্ত্যক্ত করার কারণে বিচার চাইতে গিয়ে তরুণ খুন হয়। পিতা-মাতা নিজের মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে জীবন হারায়। প্রতিনিয়ত নিজের বোন বা কন্যা সন্তানের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে মানুষকে প্রচন্ড নাজেহালসহ জীবন দিতে হয়। জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে ক্ষমতার ছত্রছায়ায় বখাটেদের উৎপাত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন বিপন্ন। তিনি বলেন, এই ঈদের ছুটিতে প্রায় ৩৫ জন মানুষের জীবনহানি ঘটেছে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফেলতির কারণে। তারা বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
দলীয় লোকদের দিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের প্রতি সরকারের উদার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আজ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষকে অনাহারে থাকতে হচ্ছে বলে দাবি করেন রিজভী। বলেন, যে কারণে ভারতে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫ টাকা অথচ কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি থেকে কোথাও কোথাও ১১০০-১২০০ টাকা কেজি। এমন সিন্ডিকেশন শুধু দুর্বৃত্তপরায়ণ অনাচারমূলক সরকার থাকলেই সম্ভব। এরা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে তামাশা করে।