বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য হোটেল, মেস ও বাসাবাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। প্রতিনিয়ত আমরা গ্রেপ্তারের খবর পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারের প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে হাজার ছাড়িয়েছে।
রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মীর আশরাফ আলী ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মুনতাহা আলীকে বুধবার রাতে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় আশরাফ আলী গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘নয়াপল্টনের কাছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে হোটেল ও ভিক্টোরিয়া হোটেলেও অভিযান চালায় পুলিশ। মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ৩০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবে সমাবেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
এদিকে, মীর আশরাফ আলীকে গ্রেপ্তারের সময় তার দুই পা ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।