তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্নার আয়োজনে ‘খুনি জিয়া, অগ্নিসন্ত্রাসী খালেদা ও কুলাঙ্গার তারেকের শাসনামলে কোথায় ছিল মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও দেশের বাইরে থাকায় শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। পরে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশে এনে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দেশে গুম ও খুনের রাজনীতি শুরু করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার জন্য ২৯ বার হত্যাচেষ্টা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে সময় হাওয়া ভবনের বসে শেখ হাসিনা হত্যার পরিকল্পনা করেন তারেক রহমান। তিনি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর কাছ থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র দেশে আনেন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। বিএনপি এখনও গুম ও খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজ্জাম্মেল হক আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে আইন রয়েছে কোনো মৃত ব্যক্তির নামে কোনো বিচার হয় না, কিন্তু খুনি জিয়ার বিচার করতে গেলে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন বা কমিশন গঠন করতে হবে। জিয়াউর রহমানের মরোনত্তর বিচারের দাবি এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। গুম ও খুনের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সব পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে।
এ সময় মায়ের কান্নার প্রধান উপদেষ্টা কর্নেল নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
এছাড়া বক্তব্য দেন রংপুর-২ আসনের এমপি আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী।