এ্যাব ও কেআইবি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে এ্যাবের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম কে ৪ বছরের ফরমায়েশি সাজা দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন এগ্রিকালচারিস্টস’ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ -এ্যাব
মঙ্গলবার ( ১০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন এ্যাবের আহবায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন ও সদস্য সচিব প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান সহ এ্যাব নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১৮ আদালতের বিচারক জসীম উদ্দিন ২০১৫ সালের ভাটারা থানার ৬/১/১৫ নং মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট মামলায় উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই অবৈধ, ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে অন্যায় এবং অবৈধ রায়ে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে ৪ (চার) বছরের সাজা দিয়েছে। আমরা এই অবৈধ রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তারা আরও বলেন,ক্ষমতাসীন দল বেপরোয়া হয়ে নিজেদের অতি ক্ষমতাধর মনে করছে যে, তারা রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের করায়ত্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আইন-আদালত, প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে বেআইনী প্রভাব বিস্তারে মেতে উঠেছে সরকার। অবৈধ ভোট বিহীন সরকার এখন দেশব্যাপী গনহারে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহ পেশাজীবীদের সাজা দিয়ে ক্ষমতার দাপট খাটাচ্ছে। দেশ উচ্ছনে যাক কিন্তু বিরোধী দলকে নানাভাবে নানা কায়দায় দমন করে ক্ষমতার সিংহাসন টিকিয়ে রাখাই এখন সরকারের নিকট খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। আর তারই আরও একটি নিষ্ঠুর বহি:প্রকাশ ঘটলো কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় ৪ বছর করে সাজা প্রদানের মধ্য দিয়ে।
এ্যাব নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে তার সাজা বাতিলের জোর দাবি জানান।