আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে একটি ভালো নির্বাচন হত। তারা নির্বাচনে আসুক সেটি আমরাও চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসেনি। উল্টো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত ‘আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, এবার নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং নির্বাচন কমিশনকে সরকার কোনোভাবেই প্রভাবিত করবে না। এরপরও তারা (বিএনপি) নির্বাচনে না এসে বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আবার বাংলাদেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন মানে না, কিছুই মানে না। এটা কেমন কথা? তারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আজ বর্তমান সরকারের সব অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ট্রেনে-বাসে আগুন দিচ্ছে। তারা দেশের সম্পদের ক্ষতি করছে। তারা নাকি নির্বাচনও হতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লড়াই করেছিলেন, এখন তাদের উত্তরসূরীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বিএনপি গঠিত হয়েছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। এখনো একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমনকি ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, তারাও এখন বিএনপির সাথে মিশে ষড়যন্ত্র করছে। এই একত্রিত ষড়যন্ত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব অর্জনকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর আমরা সুন্দর দেশের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা সেই স্বপ্ন আবার দেখতে শুরু করেছি। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত কোন অঞ্চলে কী আছে সবকিছু সম্পর্কে তিনি দেখভাল করেন।
সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নেত্রীর জ্ঞানের এই বিশালতায় আশ্চর্য হয়েছি। তিনিই শক্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশকে এখন বিশ্ববাসী সমীহের চোখে দেখে। যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলে উপহাস করেছিল, তাদের কথা আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এসময় তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুল হক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও অন্যান্য নেতারা।