ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন তাঁর প্রতীক ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে নিজেদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর ঐক্যবদ্ধ জনতার ভোটে কোনো দুর্নীতিবাজ, দলবদলি প্রার্থী টিকতে পারবে না। জয় ঈগলেরই হবে।
বৃহস্পতিবার আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারীর বিভিন্ন এলাকায় দোলনের ঈগল মার্কার পক্ষে পথসভা ও নির্বাচনী সভা হয়। সভাগুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন ফরিদপুর-১ আসনে এগিয়ে থাকা স্বতন্ত্র এ প্রার্থী।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার-হাজার জনতা ঈগল মার্কাকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল সহকারে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা ঈগল মার্কার বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে গোটা এলাকা মুখরিত করেন।
সভাগুলোতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দোলন তিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে সর্বসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি সাধারণ মানুষের ভালোমন্দের খোঁজখবর নেন। ভোটাররা দোলনকে কাছে পেয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। ভোটে বিজয়ী হলে সকল সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন দোলন।
সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গার বেলবানা হাই স্কুল প্রাঙ্গনে এক কর্মী সভায় বক্তব্য দেন দোলন। এসময় তিনি নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চান ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসুক। নির্বাচন কমিশনও চায় বেশি করে ভোটার আসুক। আর উনি (নৌকার প্রার্থী) চান ভোটাররা কেন্দ্রে না আসুক। এতেই বোঝা যায় উনারা সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে।’
দোলন বলেন, ‘আব্দুর রহমান কখনোই যোগ্য লোকদের সম্মান দেন না। আপনারা জেনে রাখুন এরা ভালোর পক্ষে না, এরা মন্দের পক্ষে। এই সমাজকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তার (নৌকার প্রার্থী) হার বা জয়ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের হারা-জেতার কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই গেছে।’
হেভিওয়েট দুই প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলন বলেন, ‘উনারা ভাবেন জনগণ বোকা। হুকুম করবেন আর সব হয়ে যাবে। কিন্তু উনারা ভুল ভাবেন। তারা আগেও এমপি ছিলেন। এলাকার জন্য কী করেছেন? দুর্নীতির সব খবর আমরা জানি। সব ফাঁস করে দেবো। আর ঘরে বসে থাকব না। এলাকার সম্মানকে নষ্ট হতে দেব না।’
‘সাবেক এমপির হাত কতবড় লম্বা এবার জনগণ দেখে নেবে। তাদের দুর্নীতির খবরও খুব শিগগিরই সামনে আসবে। জনগণ ছেড়ে কথা বলবে না। কারণ, জনগণের টাকাতেই তারা বেতন ভাতা পায়, এমপি হয়।’
আরিফুর রহমান দোলন পবিত্র কাবা শরীফ ছুঁয়ে তাঁর শপথের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘আমি এমপি হতে পারলে কোনোদিনও মানুষের হক নষ্ট করব না। আপনারা আমাকে এমপি বানালে পাঁচ বছরে যত বেতন-ভাতা পাবো, এক টাকাও নিজের পকেটে ভরবো না। ফরিদপুর-১ আসনের গরীব দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেবো।’
‘ওরা (অন্য প্রার্থী) চায় নিতে আর আমি চাই দিতে। ঈগল মার্কার জোয়ার শুরু হয়েছে মধুখালী থেকে। সিংহভাগ মানুষ আজ ঈগল ঈগল করছে৷ সবাই আজ ঈগলের পক্ষে। মধুখালী, বোয়ালমারি, আলফাডাঙ্গার মানুষ ঈগলের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।’
ঐক্যবদ্ধ জনতার কাছে কোনো দুর্নীতিবাজ নেতা টিকতে পারবে না মন্তব্য করে দোলন বলেন, ‘তারা সংঘাতের পথ বেছে নিতে চাইছে। গোয়েন্দারা সব তথ্য দিচ্ছে। তারা উস্কানি দিচ্ছে যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে। কারণ, ভোটাররা তাদের ভোট দেবে না। তাই ভয় পেয়ে তারা জনগণকেই ভয় দেখাচ্ছেন। ভোটাররা ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে এর সমুচিত জবাব দেবেন।’
প্রসঙ্গত, প্রথম বারের মতো ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল মার্কা নিয়ে সংসদ নির্বাচন করছেন মানবকল্যাণী রাজনীতিক আরিফুর রহমান দোলন। এরইমধ্যে তিন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
ঢাকা টাইমস সম্পাদক ও কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দোলন ক্লিন ইমেজের। গত দুই দশক ধরে ফরিদপুর-১ আসনে বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন জনদরদী এ তরুণ রাজনীতিক। এসবের সুফলভোগী হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। দোলন এমপি হলে ফরিদপুর-১ আসনের উন্নয়নচিত্র বদলে যাবে বলেই বিশ্বাস ভোটারদের।