
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, যদি দখলদার ইসরায়েল তাদের দেওয়া শর্ত মেনে নেয় তাহলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে।
রোববার (৩ মার্চ) মিসরের রাজধানী কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস-ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এই আলোচনা শুরুর আগে এমন তথ্য জানান নাম প্রকাশ না করা হামাসের ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “যদি ইসরায়েল হামাসের শর্ত মেনে নেয়, যার মধ্যে রয়েছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের ঘর-বাড়িতে ফিরতে দেওয়া এবং ত্রাণ সহায়তার সরবরাহ বৃদ্ধি করা, তাহলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে।”
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এখন প্রস্তাবটি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে হামাসের ওপর। যদি তারা এতে সম্মতি দেয় তাহলে দুই পক্ষের মধ্যে ফের যুদ্ধবিরতি হবে।
দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের প্যারিসে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামো তৈরি করে। এতে বলা হয়, প্রথমে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে অবৈধ দখলদার ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
এছাড়া যুদ্ধবিরতি চলার সময় গাজায় বিপুল ত্রাণ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বরতা শুরু করে ইসরায়েলিরা।
তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধে গাজা উপত্যকার প্রায় সব মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
সূত্র: এএফপি