প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এই আস্থার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে, সেটাই আমাদের বড় শক্তি।
তিনি বলেন, নির্বাচনটাই যেন না হয় সে জন্য অনেক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল। নির্বাচন করা যাবে না, এই ধরনের একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সেজন্য বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে না। কারণ তারা জানত নির্বাচন তো হবেই না। কাজেই ইলেকশনে আসবে না।
শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যে বদলে গেছে, এটা যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, সেটা ধরেই আমারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ, আপনাদের বক্তব্য এগুলো জানা দরকার। ব্যস্ততার কারণে আগের মতো ঘন ঘন মিটিং করা এখন আর সম্ভব হয় না।
গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য দিয়ে একটি টিম গঠন করে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওই টিমের সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এই আস্থার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে, সেটাই আমাদের বড় শক্তি। কারণ নির্বাচনটাই যেন না হয় সে জন্য অনেক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল। নির্বাচন করা যাবে না, এই ধরনের একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সেজন্য বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে না। কারণ তারা জানত নির্বাচন তো হবেই না। কাজেই ইলেকশনে আসবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে একটা চক্রান্ত ছিল। এগুলো আমরা কিছুটা বুঝতে পারি। যার জন্য আমরা এবার একটা রিস্ক নিয়েছিলাম। রিস্কটা হলো, আমি নির্বাচনটা ওপেন করে দিয়েছিলাম। আমি নমিনেশন দিলাম সত্য, কিন্তু সেই সঙ্গে ওপেন করে দিয়ে বললাম, যে কেউ চাইলেই দাঁড়াতে পারে। হয়ত এমন হতে পারত, যারা দাঁড়িয়েছে তারাই বেশি আসন পেল, আমরা পার্টিগতভাবে কম পেলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এই ওপেন করে দেওয়াতে যেটা হয়েছে তা হলো ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা এককভাবে ২৩৩টা আসন পেয়েছিলাম, এবার ২২৩টা পেয়েছি। কারণ আমাদের স্বতন্ত্র অনেকেই জয়ী হয়ে এসেছেন।