ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
নিহতের নাম তোফাজ্জল। গতকাল রাতে হলে চোর সন্দেহে একদল ছাত্র তাকে দফায় দফায় মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর কথা জানান।
হল কর্তৃপক্ষ তোফাজ্জলকে প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের কাছে হস্তান্তর করার পর টিমের সদস্যরা তোফাজ্জলকে হাসপাতালের পরিবর্তে প্রথমে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। এরপর পুলিশের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তোফাজ্জল রাত পৌনে ১টার দিকে মারা যান।
সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজ সন্ধ্যার মধ্যে হলের প্রভোস্টকে এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিচ্ছি। শাহবাগ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি হবে।
ফজলুল হক মুসলিম হলের একজন কর্মকর্তা বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের খেলা চলার সময় কয়েকজনের মোবাইল ফোন চুরি হয়।
শিক্ষার্থীরা তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করে বেধড়ক মারধর করে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাকে আসেন। আমরা তাকে আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।’