ইয়েমেনে হামলার পাল্টা জবাব, ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হুথিদের হামলা

ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এবার পাল্টা আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের প্রধান বিমানবন্দরসহ একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, শব্দের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন (হাইপারসনিক) ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর, আশদোদ সমুদ্রবন্দর এবং আশকেলন শহরের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর এইলাত বন্দর লক্ষ্য করে পাঠানো হয়েছে আটটি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন।

আল মাসিরাহ টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইয়াহিয়া সারি দাবি করেন, সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সঠিকভাবে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি ইন্টারসেপ্টরগুলো তা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে সোমবার ভোরে ইয়েমেনের হুদায়দাহ, রাস ইসা ও সাইফ বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানান, ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এরই অংশ হিসেবে চালানো হয় ওই হামলা।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় হুথিরা। এরপর লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক জলপথে চলাচলকারী বিভিন্ন জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে তারা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে হুথিদের হামলায় শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে দু’টি জাহাজ ডুবে যায় এবং চার জন নাবিক নিহত হন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফ্ল্যাগ’-এর ঘোষণা দিলেও হুথিদের পাল্টা হামলার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সূত্র: আরব নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি