আগামী ১৫ই মে খুলনা সিটিতে দলীয় প্রতীকে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। দম ফেলারও ফুসরত নেই তাদের। খুলনায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। ১৯৫২ সালের পহেলা জুন মল্লিকের বেড়, রামপাল উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করা রাজনৈতিক বিজ্ঞ ও প্রবীন এই নেতা আগামী সিটি নির্বাচন, সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে পলিটিক্স নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুখোমুখি হয়েছেন। কথা বলেছেন আমাদের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের সাথে।
পলিটিক্স নিউজ: মনোনয়ন না চেয়েও মনোনয়ন পেলেন, অনুভূতি কেমন?
তালুকদার আব্দুল খালেক: অনুভূতি অবশ্যই ভালো। এর আগে আমি পৌরসভা কমিশনার ছিলাম । জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলাম। ২০০৫ সাল থেকে দুই টার্ম মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি , ২০০৮ সালে নির্বাচিত মেয়র। এখন নেত্রীর নির্দেশে নির্বাচন করছি।
পলিটিক্স নিউজ : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে প্রায় ৯ বছর। ধারণা করা হয় দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়ে। নির্বাচনে এটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে কিনা?
তালুকদার আব্দুল খালেক: গত ৫ বছর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এখানের মেয়র ছিলেন, তার আগে আমি ছিলাম।আমি একটা জিনিস বুঝি, জনগন কাজের মূল্যায়ন করে। এখানে গত পাঁচ বছর কী কাজ হয়েছে আর আমার সময় কী কাজ হয়েছে অবশ্যই জনগণ তা মূলয়ণ করবে। জনগণ অবশ্য যাচাই বাছাই করবে। আর আমি স্পষ্ট বুঝি জনগণ কাজ চায়।এখানকার জনগণ আগে কেমন ছিল, এখন কেমন আছে , এটি অবশই তারা মনে রাখবে । জনগণ যেহেতু পরিবর্তন চাইবে সেই তালিকায় আমিই বেশী জনপ্রিয় হবো…
পলিটিক্স নিউজ: মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম টার্গেট কি থাকবে?
তালুকদার আব্দুল খালেক: জলবদ্ধতা সমস্যা নিরসন। এর আগে আমি ২২ টা খাল উদ্ধার করেছিলাম। সে কাজটা দৃশ্যমান করতে পারিনি। পানি নিষ্কাশনসহ মৌলিক সমস্যা সমাধান করতে হবে ।
পলিটিক্স নিউজ: বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। এতে তার প্রতি জনগণের সহানুভূতি কিংবা ভোটব্যাঙ্ক ভারী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা?
তালুকদার আব্দুল খালেক: আসলে রাজনৈতিক কারণে যদি কেউ গ্রেফতার হয় সেখানে সহানুভূতির প্রশ্ন আসতে পারে। আর দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হলে সাধারণ মানুষের বিন্দুমাত্র সহানুভূতি থাকবে বলে আমার মনে হয় না । ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমার নামে ১৪টা মামলা দিয়েছিল। আমি পরিস্কার ছিলাম, আমাকে নিয়ে যে অভিযোগ ছিলো তার সাথে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না । সাত বছর কোর্টের বারান্দায় গিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমি খালাশ পেয়েছি।
পলিটিক্স নিউজ: সংসদ সদস্য পদ ছাড়লে আপনার আসনে আগামীতে কাকে দেখতে চান?
তালুকদার আব্দুল খালেক: আগে যে ছিলো (আমার স্ত্রী) সেই পারবে আমার অবর্তমানে তা ধরে রাখতে । তারতো একটা জনপ্রিয়তা আছে, অভিজ্ঞতা আছে।
পলিটিক্স নিউজ:খুলনায় সিনিয়র নেতৃত্ব কম, এটাকে নেতৃত্বর শূন্যতা বলা যায়?
তালুকদার আব্দুল খালেক: আমাদের এখন থানা জেলা পর্যায়ে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আগামীতেও তরুণরাই নেতৃত্বে থাকবে । কিছুটা শুণ্যতা থাকলেও আগামিতে অবশ্যই পূরণ হয়ে যাবে ।
পলিটিক্স নিউজ: ধন্যবাদ আমাদের সময় দেয়ার জন্য।
তালুকদার আব্দুল খালেক: আপনাকেও ধন্যবাদ ।