আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচনে জয়ী হতে গিয়ে যেন দলের বদনাম না হয়। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে সে সিদ্ধান্ত সকলকে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শুক্রবার (২২ জুন) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করার পর প্রার্থীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় না। সব নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে।’
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন বোর্ডের সভায় সিলেট সিটির সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে সাদিক আবদুল্লাহকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এসময় চলমান বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ফুটবল খেলায় দেখতে পাচ্ছেন, যারা জেতার কথা তারা জিতছে না, গোলই দিতে পারে না। এটা রাজনীতিতেও হতে পারে। নির্বাচনগুলোতে হারলেই যে আমাদের সিট চলে যাবে, বা ক্ষমতা হারাবো সেটা নয়। তেমনি হারলে ইজ্জত চলে যাবে সেটাও না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের জিততে গিয়ে যেন কোনও রকম বদনাম না হয়। বিএনপির মাগুরা মার্কা ভোট যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটা আওয়ামী লীগ নয় সব দলের জন্যই এটা প্রযোজ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়ে নির্বাচন পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা এনেছি। আমরা চাই না কোনও নির্বাচন মাগুরা মার্কা হোক। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো হোক। নির্বাচন ঠেকাতে তারা ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। ২০১৫ সালে তারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে। আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে গেছে। আমরা চাই না, সেই পরিবেশ আর থাকুক। আমরা বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই সিলেটসহ রাজশাহী, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।