নির্বাচনী ব্যবস্থা কীভাবে জোরদার নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে কথা বলা যাবে বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদেরকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ এসব ভয় পায় না।
রোববার সকালে ঢাকা জোনের অধীনে ৯টি সেতু উদ্বোধন ও মতবিনিময়সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কার অধীনে নির্বাচন হবে সেটি মীমাংসিত বিষয়; নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী হবে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।
নির্বাচনে কোনো পক্ষপাত হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।
নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ কমিশন ছাড়া আগামীতে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না— বিএনপি নেতাদের এমন হুশিয়ারির জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের হুমকি প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি নিয়মিতই দিয়ে আসছে, এতে নতুনত্ব নেই।
‘বিএনপি নেতাদের এসব আস্ফালন আষাড়ের তর্জন-গর্জন সার।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, কাকে হুশিয়ারি দিচ্ছেন? এসব হুমকি-ধমকি আওয়ামী লীগকে দিয়ে লাভ নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থা কীভাবে জোরদার করা যায়, সে নিয়ে আলোচনা হতে পারে; তবে কোনো হুমকি-ধমকি দিয়ে নয়।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া একসময়ে বলেছিলেন— পাগল ও শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ সেই, তা হলে মির্জা ফখরুল সাহেবই বলুন— নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা কী?
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে ও জনগণকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রচার-প্রচারণা করে না। আবার প্রচার-প্রচারণা চালালেও নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে যায় না কিংবা দুপুরের আগেই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
‘তাই জনগণ এখন আর বিএনপিকে বিশ্বাস করে না।’
জেতার জন্য নয়, বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতেই নির্বাচনে অংশ নেয় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।