ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই সমাবেশে যোগ দিতে এরইমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশস্থলে ঢুকতে টিএসসি ও উদ্যানের মন্দির গেইটে লাইনে দাঁড়িয়েছেন লক্ষাধিক নেতাকর্মী।
এই সমাবেশে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগমের কথা বলা হলেও মাত্র ৫টি গেট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আগত নেতাকর্মীরা। রূপগঞ্জ থেকে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, লাখ লাখ মানুষের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাত্র ৫/৬টি গেটের চিন্তা করাই ভুল। নেতাকর্মীরা এতো দূর থেকে এসে প্রবেশ করতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে জনসমুদ্র। নেতাকর্মীরা সমাবেশে প্রবেশ করছেন মিছিল নিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পেরিয়ে একদিকে গুলিস্তান, আবার আরেক দিকে ধানমন্ডি পর্যন্ত মিছিলের সারি গিয়ে ঠেকেছে।
দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা ঢুকছেন সমাবেশ স্থলে।
নির্দিষ্ট কিছু রঙের টিশার্ট আর ক্যাপ পরে সমাবেশে আসতে দেখা যাচ্ছে কর্মীদের। অনেকের টিশার্টে যুবলীগ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আগামী দিনের পদপ্রত্যাশীদের ছবিও রয়েছে।
আজকের এ সমাবেশকে যুবসমাবেশ বলা হলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সমাবেশের মধ্যে দিয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকেও একটা সতর্কবার্তা দিতে চায় যুবলীগ। এজন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজকের সমাবেশে জনউপস্থিতির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।