বাসে অগ্নিসংযোগ করে আটজনকে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার এক মামলায় জামিন চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এই মামলায় আদেশ দেয়ার জন্য রবিবার দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা অপর এক মামলা ও নড়াইলের অপর মামলাটিও ওই কার্যতালিকায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।গত সোমবার (২১ মে) এই তিন মামলার মধ্যে দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সময় চান। পরে আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২২ মে) দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার প্রথম দিনে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় বুধবারের দিন ধার্য করেন আদালত। বুধবার খন্দকার মাহবুব হোসেনের শুনানি শেষ হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি শুরু করেন। তার শুনানি শেষ না হওয়ায় আদালত আজকের দিন (বৃহস্পতিবার) ধার্য করেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি কথা থাকলেও অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনের ফলে শুনানি শুরু হয় দুপুর ২টা পর্যন্ত।
আদালতের অনুমতি নিয়ে তিন মামলায় রবিবার (২০ মে) হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তবে তার কারামুক্তির জন্য আরও ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে। পাশাপাশি ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।